৭ বছরেও চালু হয়নি যমুনা পাড়ের বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
থমকে আছে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৮-০৫-২০২৫ ০৩:০১:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-০৫-২০২৫ ০৩:০১:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে যমুনার পাড়ে বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে ৮টি টাওয়ার। সাত বছরেও চালু হয়নি ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কাজের অগ্রগতি কিংবা কবে নাগাদ এখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে- সেটি নিয়েও নেই কোনো জবাবদিহিতা। সংশ্লিষ্ট কেউই যেন নেই জবাবদিহিতার আওতায়।
২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ শহরের মালশাপাড়া এলাকার যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে ক্রসবার-৩ এলাকায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় দেশের তৃতীয় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। লক্ষ্য ছিল ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরেও প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি।জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তত্ত্বাবধানে এবং প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিস লিমিটেডের বাস্তবায়নে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত উৎপাদন শুরু হয়নি। এমনকি হস্তান্তরও হয়নি। অচল টারবাইনের পাখাগুলো যেকোনো সময় ভেঙে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন হোসেন বলেন, দীর্ঘ সাত বছরেও কাজ শেষ হয়নি। মূলত সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতেই এখানে প্রকল্প আনা হয়েছিল। একই দাবি করেন স্থানীয় আব্দুল আলাল হোসেনও। তিনি বলেন, কখনো এই পাখাগুলো ঘুরতে দেখিনি। বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি, উল্টো পুরো টাকাটাই অপচয়।ছাত্র সংগঠক ইমরান হোসেন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রহমান বলেন, করোনাকালীন দেরি ও টাওয়ারের কম উচ্চতার কারণে প্রকল্প চালু হতে সময় লেগেছে, শিগগিরই চালু হবে।
সিরাজগঞ্জ নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী অসীথ পোদ্দার বলেন, এই প্রকল্প সম্পর্কে আমরা অবগত নই। এটি বিপিডিবির আওতাধীন। বিপিডিবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সদস্য মো. শামসুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শামিম হাসান বলেন, প্রকল্পটির কাজ এখন থেমে আছে এবং কবে নাগাদ শেষ হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ বলছে, প্রকল্পটি এখন শুধু কাগজে-কলমে আছে, বাস্তবে নেই। ৪২ কোটি টাকার এই প্রকল্প ভবিষ্যতে আদৌ বিদ্যুৎ দেবে কিনা, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স